পিকনিক বাস বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন ছাত্রের মৃত্যু: যা বলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

কুষ্টিয়া কুষ্টিয়া জুড়ে ক্রিকেট খুলনা খেলাধুলা চট্টগ্রাম জাতীয় ঢাকা তথ্য প্রযুক্তি ফিচার ফুটবল বরিশাল বিনোদন বিশেষ প্রতিবেদন ভ্রমণ মতামত ময়মনসিংহ রংপুর রাজনীতি রাজশাহী লাইফস্টাইল শিক্ষা সংবাদ সম্পাদকীয় সারাদেশ সাহিত্য সিটিজেন জার্নালিজম সিলেট স্বাস্থ্য

গাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির পিকনিক বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা প্রতিবছরই এমন দ্বিতল বাসে পিকনিক করে থাকেন। দুর্ভ্যাগ্যবশত একটা ঘটনা ঘটে গেছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামের স্থানীয় চায়না কারখানার সামনে বিআরটিসির দ্বিতল বাসটি বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন ছাত্রের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো কয়েকজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬০ শিক্ষার্থী স্থানীয় ‘মাটির মায়া’ রিসোর্টে বনভোজনে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২), মোজাম্মেল হোসেন (২৩) ও জুবায়ের রহমান সাকিবকে (২৩)। এর মধ্যে মোস্তাকিম রহমান মাহিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মোজাম্মেল হোসেন ও জুবায়ের রহমান সাকিবকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আহত ছয়জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তাদের নাম জানা যায়নি। হতাহতরা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইলেক্ট্রিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষাথী।

ঘটনার পর পরই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) সালমা আক্তার, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তদন্ত কমিটি গঠন করল।

গাজীপুরে পিকনিক বাস বিদ্যুতায়িত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ ছাত্রের মৃত্যু

দুর্ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রো-ভিসি অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম ‘মাটির মায়া’ রিসোর্টের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, “আমরা বছরের পর বছর ধরে দ্বিতল বাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পিকনিক করে থাকি। দুর্ঘটনা আসলে বলে কয়ে আসে না। দুর্ভাগ্যবশত একটা ঘটনা ঘটে গেছে। এটা কাউকে দোষ দেওয়ার চাইতে কিভাবে উত্তরণ করা যায়, কিভাবে আহত শিক্ষার্থীদেরকে চিকিৎসা করানো যায়, যেসব শিক্ষার্থী সেইভ আছেন তাদেরকে কিভাবে নিরাপদে পৌঁছানো যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”

অধ্যাপক রাকিকুল বলেন, “তদন্ত করার পর বলা যাবে এটি দুর্ঘটনা কিনা।”

দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে শিক্ষার্থীরা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা।

অধ্যাপক রাকিবুল বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

পিকনিক বাস বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন ছাত্রের মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন

ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম। কমিটিতে ডিন, রেজিস্ট্রারসহ আরো দুজন সদস্য হিসেবে থাকবেন।

স্থানীয়রা জানান, বিআরটিসির ছয়টি দোতলা বাস এবং তিনটি মাইক্রোবাস নিয়ে উত্তর পেলাইদ গ্রামের ‘মাটির মায়া’ রিসোর্টে পিকনিকে আসেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ৪৬০ জন শিক্ষার্থী। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশে যাচ্ছিল।

এর মধ্যে একটি বাস উদয়খালী গ্রামে পৌঁছামাত্র সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া হাই ভোল্টেজের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। শরীরের বিভিন্ন অংশ বিদ্যুতায়িত হয়ে কারো হাত, কারো পা, কারো মুখ ঝলসে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *